ভগবান সাকার না নিরাকার?

ঈশ্বর নিরাকার, আবার প্রয়োজনে তিনি সাকার রুপ ধারন করেন ৷ দুই রকমের আরাধনাই সনাতন ধর্মে স্বীকৃত ৷ ভগবান যেহেতু সর্বশক্তিমান সেহেতু তিনি সাকার ও নিরাকার উভয় রুপেই প্রকাশিত হতে পারেন ৷ নিরাকার রুপে তিনি আমাদের মাঝে বিরাজমান (ঋগ্বেদ: ১০/৮২/৬) ৷

“......পরমাত্মার কোন প্রতিকৃতি বা মূর্তি নেই” (যজুর্বেদ: ৩২/২) ৷

পরমাত্মা নিরাকার রুপে সর্বত্র বিরাজমান তাই তাঁর কোন প্রতিকৃতি নেই ৷ কিন্তু তিনি যখন অবতার রুপে অথবা বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ স্বরুপ অর্থাৎ দেব-দেবী রুপে প্রকাশিত হন তখন সাকার রুপ ধারন করেন ৷

“ ব্রহ্মের দুটি রুপ- মূর্ত ও অমূর্ত, মর্ত্য ও অমৃত, স্থিতিশীল ও গতিশীল, সত্তাশীল ও অব্যক্ত (বৃহদারণ্যক উপনিষদ: ২/৩/১) ৷

ভগবান বলেছেন যে, আমি জড়লও চেতন জগতের সবকিছুর উৎস ৷ সবকিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয় (গীতা: ১০/৮) ৷

অর্জুন বললেন- হে দেব! তোমার দেহে দেবতাদের, বিবিধ প্রাণীদের, কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মা, শিব, ঋষিদের ও দিব্য সর্পদেরকে দেখছি (গীতা: ১১/১৫) ৷

ঈশ্বর আমাদের মাঝে সাকার রুপেও অবতীর্ণ হন ৷ যখন ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, তখন তিনি নিজেকে প্রকাশ করে আমাদের মাঝে অবতীর্ণ হন (গীতা: ৪/৭) ৷
তাছাড়া গীতায় ভগবানের বিশ্বরুপ প্রদর্শনের কথা বর্ণিত আছে (একাদশ অধ্যায়) ৷ কাজেই, ভগবান যেহেতু সর্বশক্তিমান সেহেতু তিনি সাকার-নিরাকার উভয় রুপই ধারন করতে পারেন ৷ 


Post a Comment

0 Comments