"পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।"

"পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।"
     শুধু ভক্তিই গ্রহণ করেন ভগবান, অন্য কিছুই নয়

এ জগত সংসার ভগবানের। তাঁকে কি দিতে পারি অথবা দেয়ার সামর্থ্যই আছে আমাদের। জগতে জড় চেতন সকল বস্তুর অণুতে পরমাণুতে তিনি বিরাজ করেন। তাঁকে কিছুই দেয়ার নেই আমাদের, শুধুই হৃদয় নিংড়ানো ভক্তি ছাড়া। তিনি "ভাবগ্রাহী জনার্দন।" ভক্তের শ্রদ্ধা এবং ভক্তি ভাবই তিনি শুধু গ্রহণ করেন। ভক্তি বিহীন অন্য সকল কিছুই তাঁর কাছে গৌণ। উদ্ভিদ আমিষ যাকে আমরা বর্তমান পরিভাষায় নিরামিষ বলি, সেই নিরামিষ আহারের পক্ষে যুক্তি দিয়ে অনেকেই ইদানীং শ্রীমদ্ভগবদগীতার একটি শ্লোককে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাদের যুক্তি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতার নবম অধ্যায়ে যেহেতু তাঁকে ভক্তিপূর্বক খাবার অর্পণ করেই তবে খেতে বলেছেন। তাই তাদের মতে, যে সকল খাবার শুধু ভগবানকে যা সমর্পণ করা যায়; জগতের সবাইকে তাই খেতে হবে। তা সে মরুভূমির দেশের লোক হোক অথবা বরফের দেশের লোক হোক। তাকে এই ভারতবর্ষের ধর্মীয় চিন্তার সাথে যুক্ত খাদ্যাভ্যাসই গ্রহণ করতে হবে। শ্রীমদ্ভগবদগীতার যে শ্লোকটি নিয়ে নিরামিষ আহারের পক্ষে-বিপক্ষে এত আলোচনা; আমরা উক্ত শ্লোকটি নিগূঢ় দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে শ্লোকের মর্মার্থটি উপলব্ধি করতে পারব।

পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্মনঃ॥ 
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:৯.২৬)

''যে বিশুদ্ধচিত্ত ভক্ত আমাকে পত্র, পুষ্প, ফল, জল যা কিছু ভক্তি সহকারে অর্পণ করে; আমি ভক্তের সেই ভক্তিপ্লুত সকল উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহণ করি।"

শ্লোকের ব্যাখ্যাটি যারা একপেশে করতে চান তারা বলেন-মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি আমিষ খাবার যেহেতু ভগবানকে নিবেদন করা যায় না ; তাই এ খাবার গ্রহণ করা যাবে না। পক্ষান্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শুধু পত্র, পুষ্প, ফল, জল খেতে বলে ভগবান শুধু নিরামিষ আহারই করতে বলেছেন।কথাগুলো আপাত মনহর হলেও, অযৌক্তিক। আমরা শ্লোকটি নিয়ে যদি সামান্যতম চিন্তা করি, তবে এমনিতেই বুঝতে পারব, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতার এ শ্লোকটিতে সত্যিকার অর্থে কি বলতে চেয়েছেন। বিষয়টি আমাদের যাপিত জীবনের একটি উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া যায়।আমাদের বাসায় আমরা যখন কোন অতিথিকে নিমন্ত্রণ করি, তখন বলি - কাল আমাদের বাসায় আপনার চারটি ডালভাতের নিমন্ত্রণ। আপনার কিন্তু আসতেই হবে।চারটি ডাল ভাতের কথা বলে, পরে দেখা যায় বিশাল এক ভূরিভোজনের আয়োজন করা হয়। অনেক সময় নিমন্ত্রিত অতিথিকে এমনভাবে আকণ্ঠ খাওয়ানো হয় যে; আমন্ত্রিত অতিথি নিমন্ত্রণ খাওয়ার পরে আর নড়তে চড়তে সক্ষম হন না। অর্থাৎ আদতে ভূরিভোজনের আয়োজন হলেও, মুখে থাকে আমাদের "চারটি ডালভাতের কথা।" এভাবে নিমন্ত্রণের বিষয়টি, একপ্রকার ছদ্মবেশী বিনয় হলেও ; এ রীতিটি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে গেছে। ঠিক এমনি অর্থেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, আমার ভক্ত খুশি হয়ে আমাকে সামান্য পাতা,ফুল, ফল জল সহ যে দ্রব্যই ভক্তিপূর্ণ সমর্পণ করে আমি তাই গ্রহণ করি। এখানে ভক্তিটাই প্রধান। বাক্যটিকে পরিবর্তন করে, অনেকে আবার এভাবে অর্থ করে যে, আমাকে শুধুই পাতা,ফুল, ফল এবং জলই দিতে হবে। শ্লোকের এমন বিকৃতভাষ্য করে অনেকে শব্দের সঠিক ভাবই পরিবর্তন করে দিচ্ছে। ব্যক্তিগত মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, সে সকল ব্যক্তিরা এ প্রকার অপকর্ম করছে। এরা অনেকেই জানে না যে, শ্রীমদ্ভগবদগীতা অপূর্ব ভাবময়ী এবং সনাতন ধর্ম দর্শনের সকল মতপথের সমন্বয়ের প্রতীক। এ কারণেই শ্রীমদ্ভগবদগীতা ভারতবর্ষে উৎপন্ন সকল মতপথ নির্বিশেষে সকলের কাছেই সমান আদরণীয়। যদিওবা শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোককে নিজ ইচ্ছামত বিকৃত অর্থ অনেকে গায়ের জোরে করেছে, কিন্তু তারা সম্প্রদায়ের মানুষের সর্বজনীন সামাজিক স্বীকৃতি পায়নি। 

গীতাকে সংকীর্ণ মানসিকতার কোন ক্ষুদ্র কূপে বদ্ধ করা যায় না। যারা এ কাজটি করছে, তারা সত্যিকার অর্থে শ্রীমদ্ভগবদগীতা শ্লোকগুলা ভাল করে পরে না। ভগবান এ জগত সংসারের প্রত্যেকটি কারণের নিমিত্ত কারণ এবং উপাদান কারণ। জগতের যত জীব যত খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে, তা সকলই তিনি বৈশ্বানর অগ্নি হয়ে জঠরাগ্নিতে খাদ্য পরিপাক করেন। সকল জীবের ভক্ষিত চব্য, চোষ্য, লেহ্য এবং পেয় চার প্রকার অন্ন ভগবানই প্রত্যেকটি জীবের মধ্যে জঠরাগ্নি রূপে অবস্থিত থেকে পরিপাক করে দেন। সেই পরিপাককৃত খাদ্যরসই মানবের সারা শরীরে সঞ্চারিত হয়। মানব সহ প্রত্যেকটি জীবের খাদ্য তিনি দেহমধ্যস্থ জঠরাগ্নিরূপে গ্রহণ করেন। মানবের খাবার যেমন ভগবান গ্রহণ করেন, তেমনি অচল উদ্ভিদের খাবারও তিনিই গ্রহণ করেন। সকল জীবের সকল খাবারই তিনিই পরিপাক করেন, এর মধ্যে উদ্ভিদ আমিষ বা প্রাণীজ আমিষের কোন বিষয় নেই।শুধু আলাদা করে পত্র, পুষ্প, ফল, জল গ্রহণের বিষয় নেই; তিনি সকল খাদ্যই গ্রহণ করেন এবং দেহমধ্যে থেকে পরিপাক করেন। এ কারণেই জগতের সকল জীব বেঁচে থাকে। শ্রীমদ্ভগবদগীতার পঞ্চদশ অধ্যায়ের ১৪ নং শ্লোকে ভগবান দ্বারা প্রাণিগণের উদরে বৈশ্বানর অগ্নিরূপে অবস্থিত থেকে এ চারপ্রকার অন্ন পরিপাকের কথা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। 

অহং বৈশ্বানরো ভূত্বা প্রাণিনাং দেহমাশ্রিতঃ।
প্রাণাপানসমাযুক্তঃ পচাম্যন্নং চতুর্বিধম্।। 

"অামিই প্রাণিগণের উদরে বৈশ্বানর অগ্নিরূপে স্থিত হয়ে প্রাণ ও অপান বায়ুর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য, এবং পেয় এ চতুর্বিধ অন্নকে পরিপাক করি।"

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় ভগবান কেন তাঁকে পত্র, পুষ্প, ফল, জল অর্পণ করতে বলেছেন? এর উত্তরে বলতে হয়, ভগবান শুধু ভক্তিকে সমর্পণ করার নির্দেশনা দিতেই পত্র, পুষ্প, ফল, জল শব্দগুলোর উল্লেখ করেছেন। এ ভক্তিধন বড় আদরের ধন, বড় সাধনার ধন।এর কাছে সকল ধনই তুচ্ছতম। কারো যদি একবার এ ভক্তিধনের স্পর্শ হয়, তবেই স্পর্শমণি হয়ে নিজে সহ আশেপাশের সকলকেই সে হিরণ্ময় করে দেয়। এ বিষয়ে 'ভক্তমাল' গ্রন্থে বর্ণিত সনাতন গোস্বামী এবং এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের ঘটনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'স্পর্শমণি' নামে একটি অনন্য কবিতা লিখেছেন। কবিতাটিতে সনাতন গোস্বামীর মাঝে কিভাবে ভক্তিধনের পরশপাথর মূর্তিমান হয়েছে, তা বর্ণিত হয়েছে। বৃন্দাবনে যমুনা নদীতীরে একমনে সনাতন গোস্বামী হরিনাম জপ করছেন।এমন সময়ে দীনবেশে এক ব্রাহ্মণ এসে তাঁর চরণে প্রণাম করলেন। সনাতন গোস্বামী তখন ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞেস করেন,"কোথা হতে আগমন, কী নাম ঠাকুর?" সনাতন গোস্বামীর প্রশ্নে তিনি বলেন, "বহুদূর থেকে এসেছি আমি, আমার নাম নাম জীবন, বর্ধমানের মানকরে আমার বাড়ি। আমি এক ভাগ্যাহত দীনহীন দরিদ্র ব্রাহ্মণ। ক্রিয়াকর্ম-যজ্ঞযাগে পূর্বে বহু সুখ্যাতি ছিল, আজ আর সে সকল কিছু নেই। নিরুপায় হয়ে নিজের উন্নতির জন্যে, ভগবান শিবের আরাধনা করি। আরাধনায় তুষ্ট হয়ে একদিন নিশিভোরে ভগবান শিব স্বপ্নে দেখা দিয়ে যমুনার তীরে আপনার চরণে নিজেকে সমর্পণ করতে বললেন। আরও বললেন আপনার কাছে আছে আমার ধনলাভের উপায়।"

ব্রাহ্মণের কথা শুনে সনাতন গোস্বামী ভাবিয়া আকুল হন। তিনি চিন্তিত হৃদয়ে ভাবেন, "কী আর আছে আমার! ভিক্ষাপাত্র ছাড়া তো আমার কিছুই নেই। সহায় সম্পত্তিরূপে যা ছিল সকলই আমি বঙ্গে ফেলে এসেছি। এমনি সময়ে সহসা তাঁর মনে পড়ে যায়, একদিন নদীতীরে একটি পরশমাণিক কুড়ায়ে পেয়েছিলেন। পরে সেটি তুচ্ছভরে বালির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। তিনি দরিদ্র ব্রাহ্মণকে তখন বালির মধ্য থেকে পরশমাণিককে কুড়িয়ে নিতে বলেন। সনাতন গোস্বামীর কথামত দরিদ্র ব্রাহ্মণ হন্তদন্ত করে এসে নির্দিষ্ট স্থানের বালুকারাশি খুঁড়ে সেই পরশমাণিকটিকে খুঁজে পায়। সেই পরশমাণিক দিয়ে তাঁর লোহার মাদুলি দুটি স্পর্শ করে; তৎক্ষণাৎ সেই লোহার মাদুলি সোনার হয়ে যায়। হঠাৎ ব্রাহ্মণের বোধদয় হয়, তিনি বুঝতে পারেন; তিনি জাগতিক ধনসম্পত্তির মোহে পরেছেন। যা সাধন জগতের পথে অন্তরায়। তাঁর মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গিয়ে তাঁর বোধদয় হয়। তিনি ভাবেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধন পরশমণিকে হেলায় বালুকাবেলায় যিনি ফেলে দিয়েছেন ; সেই ব্যক্তির কাছে নিশ্চয়ই এর থেকেও বড় ধন আছে। সে ধনই তিনি পেতে চান।

"তখন ব্রাহ্মণ উঠে   সাধুর চরণে লুটে
কহে অশ্রুজলে,
'যে ধনে হইয়া ধনী মণিরে মান না মণি
তাহারি খানিক
মাগি আমি নতশিরে।' এত বলি নদীনীরে
ফেলিল মানিক।"

সত্যিই সনাতন গোস্বামীর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধন ভক্তিধন ছিল, তাই জাগতিক সকল সম্পদই তার কাছে তুচ্ছতম ছিল। শ্রীমদ্ভগবদগীতার নবম অধ্যায়ের উক্ত শ্লোকটিতেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভক্তের কাছে শুধু এ ভক্তিধনই চেয়েছেন ; অন্যকিছু নয়। বিষয়টি আমাদের বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থে পাওয়া যায়। দেবীপুরাণে আছে,

অলাভেন চ পষ্পাণাং পত্রাণ্যপি নিবেদয়েৎ।
পত্রাণামপ্যলাভে তু ফলান্যপি নিবেদয়েৎ।।
ফলানামপ্যলাভে তু তৃণগুল্মৌষধান্যপি।
ওষধীনামলাভে তু ভক্ত্যা ভবতি পূজিতা।।
(দেবীপুরাণ : ১২৩ অধ্যায়,১৯-২০)

"পূজাতে কোথাও যদি ফুল পাওয়া না যায়, তবে ফুলের অভাবে ফুলের পাতা নিবেদন করবে। পাতাও যদি না পাওয়া যায়, তবে শুধু ফল দিয়ে পূজা করবে। ফল পাওয়া না গেলে, তৃণ-গুল্ম-ঔষধি প্রদান করবে। কিন্তু যদি ঔষধিও পাওয়া না যায়, তবে কেবলমাত্র ভক্তিবলেই দেবীকে পূজা করবে।"

আমাদের অনেকের কাছেই হৃদয়ের শুদ্ধ ভক্তি থেকে বাহ্যিক আচারই অধিকাংশ সময়ে মুখ্য হয়ে উঠে। তখন আমরা নিজের অজান্তেই ঈশ্বর থেকে দূরে সরে যেতে থাকি। ধর্মের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে আচার বা সদাচারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা যখন ধর্মের অন্তর্নিবিষ্ট রূপের থেকে বাহ্যরূপের দৃষ্টি বেশি দিব তখনই গোল বাঁধে। আমরা তখন আড়ম্বর আনুষ্ঠানিকতায় যিনি আমার ইষ্ট, যিনি আমার উপাস্য, তাঁকেই ভুলে যাই।

"তোমার পূজার   ছলে তোমায়   ভুলেই থাকি।
বুঝতে নারি   কখন্‌ তুমি   দাও-যে ফাঁকি ॥
ফুলের মালা   দীপের আলো   ধূপের ধোঁওয়ার
পিছন হতে   পাই নে সুযোগ   চরণ-ছোঁওয়ার,
স্তবের বাণীর   আড়াল টানি   তোমায় ঢাকি ॥"

প্রকৃত ভক্তের কাছে বাহ্যিক উপাচার অত্যাবশকীয় নয়।বিনা উপাচারেই ভক্তিধনকে সম্বল করে সে পৌঁছে যায় ভগবানের সান্নিধ্যে, ভগবানের কোলে।মানুষ যখন বৃহৎ লক্ষ থেকে বিচ্যুত হয়, তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগন্য বিষয় নিয়ে আড়ম্বর শুরু করে। ক্ষুদ্র বিষয়টাকে বৃহদাকারে বিশেষভাবে তুলে মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়। খাদ্যাখাদ্য সেরকমই শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য গৌণ একটি বিষয়। শরীর টিকে থাকলে মন টিকে থাকবে। মন টিকে থাকলে ঈশ্বর সাধনা করা যাবে। মূল লক্ষ্য ঈশ্বরে মনোনিবেশ করা। কিন্তু ধর্মগুরুররা শরীর কি দিয়ে পোষণ করবে, এ নিয়েই সদা ব্যাস্ত। খাদ্য শরীর মনে প্রভাব বিস্তার করে বটে, কিন্তু খাদ্য ছাড়াও শরীর মনকে বেশি প্রভাবিত করে আসক্তি, ক্ষমতা, দম্ভ, সম্মান লাভের আশা, সুনাম, সুখাকাঙ্খা।ঈশ্বর সাধনার জন্য শরীরকে সুস্থ্য রেখে বাচিয়ে রাখার জন্যই খাবার গ্রহণ করা হয়। কিন্তু মানুষ যখন সকল বিষয় বাদ দিয়ে শুধু খাদ্যাখাদ্য নিয়েই পরে থাকে ; তখনই গোল বাঁধে। 

কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী 
সহকারী অধ্যাপক, 
সংস্কৃত বিভাগ, 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Post a Comment

0 Comments